ইউক্রেনের বাখমুত শহরে রাশিয়ার ২০ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন দাবি করেছে, গত ৫ মাসে এসব সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন এ সময়ের মধ্যে আরও ৮০ হাজার সেনা আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর থেকেই ডনবাস প্রদেশের বাখমুত শহরের দখল নিতে প্রাণপণ লড়াই করছে রাশিয়া। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এই বাখমুতেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
যুদ্ধ শুরুর আগে বাখমুতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু বর্তমানে মাত্র কয়েকশ বেসামরিক রয়ে গেছেন। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে বাখমুতের জয় খুব বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু রাশিয়া কোনো এক অজানা কারণে প্রায় ১০ মাস ধরে এক শহরের পেছনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছে।
ইউক্রেনের সেনারা বাখমুত থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নির্দেশ অনুযায়ী তারা এখনো সেখানে রয়ে গেছেন। তারা মূলত এখন চাইছেন, যতটা সম্ভব রুশ বাহিনীর ক্ষতি করতে। বাখমুতে রুশ সেনাদের হতাহতের বিষয়ে জন কিরবি বলেছেন, ‘ডনবাসের বাখমুতে রাশিয়ার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ অঞ্চল দখলে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ধারণা করছি রাশিয়ার প্রায় ১ লাখ সেনা হতাহত হয়েছেন। এরমধ্যে হামলায় অংশ নেওয়া ২০ হাজার মৃত সেনা রয়েছেন।’ তবে বাখমুতে ইউক্রেনের কতজন সেনা নিহত হয়েছেন সেই তথ্য জানাবেন না বলে জানিয়েছেন কিরবি।
তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয়রা এখানে ভিকটিম। রাশিয়া আগ্রাসনকারী।’ এদিকে কিরবির এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। সূত্র: বিবিসি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।